www.bigoo.wswww.bigoo.wswww.bigoo.wswww.bigoo.wswww.bigoo.wswww.bigoo.wswww.bigoo.ws

এই পেইজটি ভালভাবে দেখতে হলে আপনার প্রয়োজন Mozilla Firefox Browser

বাংলা বানান

বাংলা বানানের প্রায়োগিক কিছু ভুল:

প্রয়োজন সাধারণ সতর্কতা

বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, রাষ্ট্রভাষা। এই ভাষার মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এ দেশের ছাত্রসমাজ ১৯৫২ সালে রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে সারা জাতিকে রক্তশপথে অঙ্গীকারাবদ্ধ করে গেছে। রাষ্ট্রীয় কাজকর্ম মুখ্যত মাতৃভাষায়ই চলছে। কিন্তু তার পরেও এ সত্য অস্বীকার করার কোনোই উপায় নেই যে, মাতৃভাষার প্রতি আমাদের অবহেলা ও ঔদাসীন্য দিন দিন বাড়ছে। তাই আমরা আপনাদেরকে উদাত্ত আহবান করছি যারা মাতৃভাষাকে ভালোবাসেন, কর্মক্ষেত্রে বাংলা না লিখে যাঁদের উপায় নেই, স্কুল-কলেজের শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীসহ যে কোনো পেশার ব্যক্তিবর্গ আসুন বাংলা বানান সম্পর্কে আমরা সচেতন হই।

০১. অতৎসম শব্দে ই-কার ব্যবহৃত হয়। যেমন :

তদ্ভব : পক্ষী > পাখি, কুম্ভীর > কুমির, বাটী > বাড়ি, বংশী > বাঁশি।

অর্ধতৎসম : মিছে, খিদে।

দেশি : ঢেঁকি, খুকি, ঢিল, মেকি।

বিদেশি : অফিস, মিস্টার (ইংরেজি)

গরিব, অছিলা, আমির (আরবি)

এলাচি, চিনি, লুচি (চীনা)।

০২ জাতি ও ভাষার নামের শেষে ই-কার ব্যবহৃত হয়। যেমন :

বাংলাদেশি,বাঙালি, জাপানি, ইহুদি (জাতি)

ইংরেজি, আরবি, জাপানি (ভাষা)।

০৩ সমাসবদ্ধ পদের ক্ষেত্রে পূর্বপদের শেষে ঈ-কার স্থলে ই-কার হয়। যেমন :

প্রাণী-বিজ্ঞান = প্রাণিবিজ্ঞান।

মন্ত্রী-সভা = মন্ত্রিসভা।

শশী-কর = শশিকর।

০৪ ‘তা’ প্রত্যয় যুক্ত হলে পদের শেষে ঈ-কার স্থলে ই-কার হয়। যেমন : প্রতিযোগী + তা = প্রতিযোগিতা, উপকারী + তা = উপকারিতা।

০৫ স্ত্রীবাচক তৎসম শব্দের শেষে ঈ-কার ব্যবহৃত হয়। যেমন : নারী, রমণী, কল্যাণী, মালিনী।

০৬ স্ত্রীসূচক সংখ্যাবাচক শব্দে ঈ-কার হয়। যেমন : পঞ্চমী, ষষ্ঠী, নবমী, দশমী ইত্যাদি।

০৭ ‘ইনি’ প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দের শেষে ঈ-কার ব্যবহৃত হয়। যেমন : ধনী (ধন+ইনী), জ্ঞানী, রোগী।

০৮. সন্ধিঘটিত কতিপয় শব্দে ঈ-কার হয়। যেমন : রবি + ইন্দ্র = রবীন্দ্র, পরি + ইক্ষা = পরীক্ষা, অতি + ইব = অতীব, অভি + ইষ্ট = অভীষ্ট।

০৯.তৎসম শব্দে উ-কার হয়। যেমন : পুব (পূর্ব), সুতো (সূতা), ধুলো (ধূলা), পুজো (পূজা), কুলো, কুয়ো।

১০. বিদেশি শব্দে উ-কার হয়। যেমন : পুলিশ, বুলেট, চাবুক, রুমাল, স্কুল, হুকুম, কুলি ইত্যাদি।

১১. সন্ধিঘটিত কতিপয় শব্দে ঊ-কার ব্যবহৃত হয়। যেমন : মরু + উদ্যান = মরূদ্যান, কটু + উক্তি = কটূক্তি, লঘু + ঊর্মি = লঘূর্মি।

১২. সমাসবদ্ধ পদের পূর্বপদের ঊ-কার বহাল থাকে। যেমন : কূটনীতি, ঘূর্ণিপাক, পূর্ণমান, রূপরস।

১৩. সমাসবদ্ধ পদের মধ্যাংশে ঊ-কার হয়। যেমন : উপকূল, ভূতপূর্ব, পটভূমি, জন্মভূমি ইত্যাদি।

১৪. অ বা আ-কারের পর এ-কার থাকলে উভয় মিলে ঐ-কার হয়। ঐ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যেমন :

অ + এ = ঐ-কার > জন + এক = জনৈক

আ + এ = ঐ-কার > সদা + এব = সদৈব।

১৫. অ বা আ-কারের পর ঐ-কার থাকলে উভয় মিলে ঐ-কার হয়। ঐ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যেমন :

অ + ঐ = ঐ-কার > মত + ঐক্য = মতৈক্য

আ + ঐ = ঐ-কার > মহা + ঐশ্বর্য = মহৈশ্বর্য।

১৬. ষ্ণ, ষ্ণ্য, ষ্ণিক প্রভৃতি সংস্কৃত প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দের বানানে প্রকৃতির আদ্য ই, এ স্থলে ঐ-কার হয়। যেমন :

তিল + ষ্ণ = তৈল, শিব + ষ্ণ = শৈব

দিন + ষ্ণিক = দৈনিক দেহ + ষ্ণিক = দৈহিক।

১৭. অ বা আ-কারের পর উ কিংবা ঊ-কার থাকলে উভয়ে মিলে ও-কার (ে া) হয়। ও-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যেমন :

অ + উ = ও-কার > পর + উপকার = পরোপকার

অ + উ = ও-কার > সূর্য + উদয় = সূর্যোদয়

অ + ঊ = ও-কার > নব + ঊঢ়া = নবোঢ়া

আ + উ = ও-কার > কথা + উপকথন = কথোপকথন।

১৮. অ-কারের পরস্থিত স-জাত বিসর্গের পর স্বরবর্ণের ‘অ’ কিংবা অন্য কোন ঘোষবর্ণ থাকলে ‘অ’ স্থলে ও-কার হয়। ও-কার পূর্ব বর্ণে যুক্ত হয়।

যেমন : মনঃ + যোগ = মনোযোগ স্বরঃ + বর = সরোবর

সদ্যঃ + জাত = সদ্যোজাত তপঃ + বন = তপোবন।

১৯. মূল ইংরেজি শব্দে ড় থাকলে প্রতিবর্ণে ও-কার হয়। যেমন : বোনাস (ইড়হঁং), পোলার (চড়ষধৎ), নোট (ঘড়ঃব) ইত্যাদি।

২০. অ বা আ-কারের পর ও-কার বা ঔ-কার থাকলে উভয়ে মিলে ঔ-কার (ে ৗ) হয়। যেমন :

অ + ও = ঔ-কার > মাংস + ওদন = মাংসৌদন

অ + ঔ = ঔ-কার > দিব্য + ঔষধ = দিব্যৌষধ

আ + ও = ঔ-কার > মহা + ওষধি = মহৌষধি

আ + ঔ = ঔ-কার > মহা + ঔষধি = মহৌষধি।

২১. ষ্ণ / ষ্ণ্য প্রত্যয় যোগে বিশেষ্যবাচক পদ গঠিত হলে প্রকৃতির আদ্যস্থিত উ / ঊ স্থানে ঔ-কার হয়। যেমন :

গুরু + ষ্ণ = গৌরব, সুহৃদ + ষ্ণ্য = সৌহার্দ, পুত্র + ষ্ণ = পৌত্র, সুন্দর + ষ্ণ্য = সৌন্দর্য।

২২. ষ্ণিক প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দে ঔ-কার হয়। প্রকৃতির আদ্যস্থিত উ/ ঊ-কারের স্থলে ঔ-কার হয়। যেমন :

পুরান + ষ্ণিক = পৌরাণিক, মূল + ষ্ণিক = মৌলিক, উপন্যাস + ষ্ণিক = ঔপন্যাসিক।

২৩. প্রত্যয় ও বিভক্তিহীন শব্দের শেষে ‘ং’ বসে। যেমন : রং, ঢং, সং ইত্যাদি।

২৪. শব্দের শেষে প্রত্যয় বা বিভক্তি যুক্ত হলে ‘ঙ’ ব্যবহৃত হয়। যেমন : রাঙা, রঙে, ঢঙে ইত্যাদি।

২৫. সম্মানসূচক সর্বনাম পদে চন্দ্রবিন্দুর ব্যবহার আছে। যেমন : তাঁরা, যাঁরা।

২৬. কয়েকটি সংখ্যাবাচক শব্দে চন্দ্রবিন্দুর ব্যবহার আছে। পাঁচ, পঁচিশ, পঁচাশি।

২৭. কতিপয় দ্বিরাবৃত্ত শব্দে চন্দ্রবিন্দু ব্যবহৃত হয়। যেমন : আঁকাআাঁকি, খোঁচাখুঁচি।

২৮. কিছু ক্রিয়াবাচক শব্দে চন্দ্রবিন্দু ব্যবহৃত হয়। যেমন : কাঁদা, রাঁধা।

২৯. তদ্ভব শব্দে চন্দ্রবিন্দুর ব্যবহার হয। যেমন : গাঁ (গ্রাম), চাঁদ (চন্দ্র)।

৩০. সন্ধিতে ত ও দ এর পর ‘জ’ হয়। যেমন : সৎ + জন = সজ্জন, তদ + জন্য = তজ্জন্য, উৎ + জ্বল = উজ্জ্বল, বিপদ + জনক = বিপজ্জনক।

৩১. বাংলা ক্রিয়াবাচক শব্দে সাধারণত ‘জ’ ব্যবহৃত হয়। যেমন : সাজানো, বাজানো, খোঁজা ইত্যাদি।

৩২. বিদেশি শব্দের ক্ষেত্রে -

ক. মূল ইংরেজি শব্দের বানান ু/ল থাকলে প্রতিবর্ণীকরণের ক্ষেত্রে ‘জ’ হয়। যেমন- জজ (ঔঁফমব), জংশন (ঔঁহপঃরড়হ), জেব্রা (তবনৎধ)।

খ. মূল আরবি, ফারসি শব্দের বানানে যিম, যা, যাল, যোয়াদ, যোয়া ভিন্ন অন্য কিছু থাকলে সেক্ষেত্রে ‘জ’ ব্যবহৃত হয়। যেমন : কামিজ, গজল ইত্যাদি।

৩৩. তৎসম শব্দে ‘য’ ব্যবহৃত হয়। যেমন : যন্ত্রণা, যম, যথা, যতি ইত্যাদি।

৩৪. ধাতুর সাথে ঘ্যণ প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দের শেষে ‘য’ ব্যবহৃত হয়। যেমন : ্রকৃ + ঘ্যণ = কার্য, পরি-্রহৃ + ঘ্যণ = পরিহার্য।

৩৫. মূল শব্দের শেষে ‘র’ থাকলে এবং সাথে ‘ষ্ণ’ প্রত্যয় যুক্ত গঠিত শব্দের শেষে ‘য’ ব্যবহৃত হয়। যেমন : চোর + ষ্ণ্য = চৌর্য,

সুন্দর + ষ্ণ্য = সৌন্দর্য, মধুর + ষ্ণ্য = মাধুর্য।

৩৬. ইংরেজি ণ বর্ণের স্থলে বাংলা অনেক সময় ‘য’ ব্যবহৃত হয়। যেমন : ণঁমড়ংষধারধ - যুগোস্লাভিয়া, ণঁমর - যোগী।

৩৭. মূল আরবি, ফারসি শব্দে যিম, যা, যাল, যোয়াদ, যোয়া প্রভৃতি থাকলে প্রতিবর্ণীকরণের ক্ষেত্রে বাংলায় ‘য’ ব্যবহৃত হয়। যেমন : নামায, যোহর, আযান ইত্যাদি।

৩৮. তৎসম শব্দ হতে আগত তদ্ভব শব্দে ‘শ’ ব্যবহৃত হয়। যেমন : বংশ > বাঁশ, মশক > মশা।

৩৯. কতিপয় খাঁটি বাংলা শব্দে ‘শ’ ব্যবহৃত হয়। যেমন : দেশি, আশা ইত্যাদি।

৪০. প্রত্যয়ান্ত শব্দের শেষে ‘শ’ ব্যবহৃত হয়। যেমন : কর্কশ, লোমশ, ক্রমশ।

৪১. উপসর্গযোগে গঠিত শব্দের শেষে ‘শ’ হয়। যেমন : উপদেশ, সমাবেশ ইত্যাদি।

৪২. যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণে চ/ছ এর পূর্বে ‘শ’ হয়। যেমন : পশ্চিম, নিশ্চিত।

৪৩. বিদেশি শব্দের ক্ষেত্রে ইংরেজিতে মূল শব্দে ংয, ংংরড়, ঃরড় থাকলে বাংলায় ‘শ’ হয়। যেমন : ওহংঃরঃঁঃরড়হ (ইনস্টিটিউশন), ঝযরৎঃ (শার্ট) ইত্যাদি।

৪৪. যুক্ত ব্যঞ্জনে ত/ থ এর পূর্বে ‘স’ হয়। যেমন : অস্থির, বিধ্ব¯Í।

৪৫. কতিপয় সন্ধির ক্ষেত্রে বিসর্গের স্থলে ‘স’ হয়। যেমন : পুরঃ + কার = পুরস্কার, ভাঃ + কর = ভাস্কর।

৪৬. বাংলা ক্রিয়াপদে ‘স’ ব্যবহৃত হয়। যেমন : বলিস, ধরিস, করিস, যাস ইত্যাদি।

৪৭. ‘সাৎ’ প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দে ‘স’ ব্যবহৃত হয়। যেমন : ভূমিসাৎ, ধূলিসাৎ।

৪৮. বিদেশি শব্দের ক্ষেত্রে ইংরেজি মূল শব্দে ং থাকলে বাংলায় ‘স’ বসে। যেমন : মাস্টার (গধংঃবৎ), স্যার (ঝরৎ), স্টার (ঝঃধৎ) ।

৪৯. উপসর্গ যোগে গঠিত শব্দে ‘স’ ব্যবহৃত হয়। যেমন : সুগভীর, সমাচার, সচেষ্ট।

৫০. বাংলা ক্রিয়াপদে ‘ন’ হয়। যেমন : করেন, মারেন, ধরেন, যাবেন।

৫১. ‘ত’ বর্গীয় বর্ণের পূর্বে (সংযুক্ত বর্ণে) ‘ন’ ব্যবহৃত হয়। যেমন : বৃন্ত, গ্রন্থ, বন্ধু।

৫২. বিদেশি শব্দে ‘ন’ ব্যবহৃত হয়। যেমন : ট্রেন, জাপান, জার্মানি, কোরান, পাকি¯Íান, টেন্ডার, কিন্ডার প্রভৃতি।

৫৩. খাঁটি বাংলা শব্দে ‘ন’ ব্যবহৃত হয়। যেমন : শ্রীমান, সর্বনাম, রূপবান।

৫৪. সমাসবদ্ধ পদের পূর্বপদে ঋ, র, ষ থাকলে পরপদে ‘ন’ বসে। যেমন : মৃগনাভি, ত্রিনেত্র, দুর্নাম।

৫৫. ঋ, র, ষ-এর পর স্বরবর্ণ ক ও প বগীয় বর্ণ এবং অন্তস্থ বর্ণ ব্যতীত অন্য বর্ণ থাকলে ‘ন’ ব্যবহৃত হয়। যেমন : দর্শন, কর্তন।

‘ষ’ ব্যবহার/ ষ-ত্ব বিধানের নিয়ম :

০১. অ বা আ-কার ভিন্ন অন্য স্বরধ্বনি এবং ক ও র-এর পরে ষ হয়। যথা : ভবিষ্যৎ, মুমূর্ষ, বিষয়, সুষমা, চিকীর্ষা, ভাষণ, আকর্ষণ, কৃষক, ঘর্ষণ, মিষ্টি, সৃষ্টি, নিষিক্ত, নিষিদ্ধ, নিষেধ, বিষণœ, বিষয়, বিষাক্ত।

০২. প্রতি, অভি, বি ইত্যাদি ই-কারান্ত এবং অনু, সু, ইত্যাদি উ-কারান্ত উপসর্গের পর কতগুলো ধাতুতে ‘ষ’ হয়। যথা : (প্রতি + সেধক) = প্রতিষেধক, (অভি + সেক) = অভিষেক, (বি + সন্ন) = বিষণœ, (সু + সুপ্ত) = সুষুপ্ত।

০৩. নিঃ, দুঃ, বহিঃ, আবিঃ, চতুঃ, প্রাদৃঃ এগুলোর পরে ক, খ, প, ফ থাকলে ঃ (বিসর্গ) স্থানে ষ হয়। যথা : নিঃ + কাম = নিষ্কাম, দুঃ + কর = দুষ্কর, আবিঃ + কার = আবিষ্কার, নিঃ + কণ্টক = নিষ্কণ্টক।

০৪. র, ঋ বা ঋ-কারের পরে সব সময় ষ হয়। যথা : তৃষ্ণা, বৃষ্টি, কৃষ্টি, সৃষ্টি, উৎকৃষ্ট, প্রকৃষ্ট, দৃষ্টি, বর্ষণ, ঘর্ষণ, কর্ষণ, কৃষি, কৃষক তৃণ, বর্ণ।

০৫. ট ও ঠ-এর পূর্বে সব সময় ষ ব্যবহৃত হবে। যথা : ফষ্টিনষ্টি, কাষ্ঠহাসি, স্পষ্ট, নষ্ট, তুষ্ট, সৃষ্টি, কৃষ্টি, অনিষ্ট, বৃষ্টি, মিষ্টি, পিষ্ট, বেষ্টন, সন্তুষ্ট, অষ্টাদশী, অষ্টম, ওষ্ঠ, বিষ্ঠা, শ্রেষ্ঠ, দুষ্টামী, পরাকাষ্ঠ, নিষ্ঠা।

০৬. সমাসবদ্ধ পদের ক্ষেত্রে প্রথম পদের শেষে ই, উ, বা ঋ এবং ও থাকলে পরবর্তী পদের আদ্যে ষ হবে। যথা : যুধিষ্ঠির, সুষমা, গোষ্ঠী, সুষম ইত্যাদি।

০৭. কতগুলো শব্দে স্বভাবতই ‘ষ’ হয়। যথা : আভাষ, ঊষা, ঊষর, ঈষৎ, ঈর্ষা, হর্ষ, বর্ষা, বর্ষণ, কষায়, কোষ, পাষণ্ড, পাষাণ, পোষণ, ভাষা, তোষণ, ষণ্ড, ষণ্ডা, ষষ্ঠ, ষষ্ঠী, মানুষ, সরিষা, ঔষধ, ঔষধি, ষোড়শ, ঘোষণা, পৌষ, ভূষণ, ষড়যন্ত্র, ষটচক্র, প্রত্যুষ, মহিষ, বিশেষ্য, মুষিক, মেষ, ষোড়শ, ষোল, ষাট, কুষ্মাণ্ড, গণ্ডুষ, কিষাণ, কলুষ, দোষ, বিষাণ, বিষণœ, বাষ্প, ভীষ্ম, গ্রীষ্ম, আষাঢ়, পুরুষ, ঘুষ, নিষেধ, কর্ষণ, রোষ, তুষ, হ্রেষা, শেষ।

‘ণ’ ব্যবহার/ ণ-ত্ব বিধানের নিয়ম :

০১. ঋ, র, ষ-এর পরস্থিত দন্ত ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়। যেমন : ঋণ, তৃণ, বর্ণ, কারণ, মসৃণ, কৃষ্ণ, উষ্ণ ইত্যাদি।

০২. ঋ, র, ষ-এর পরে স্বরবর্ণ, ক-বর্গ, প-বর্গ, য, ব, হ বা ং (অনুস্বার) থাকলে দন্ত্য ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়। যেমন : হরণ (হর + অ + ন), অর্পণ (অর + প + ন), কৃপণ (কৃ + প + অ + ন)। এরূপ ভ্রমণ, ব্রাহ্মণ, লক্ষণ ইত্যাদি।

০৩. ট বর্গের পূর্বের দন্ত্য ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়। যথা : কণ্টক, কাণ্ড, ঝাণ্ডা, লুণ্ঠন, ভাণ্ড, চণ্ডী, দণ্ড ইত্যাদি।

০৪. প্র, র্নি, পরি- এই তিনটি উপসর্গের পর, নদ, নম্, নশ্, নহ্, নী, নুদ এই কয়টি ধাতুর পরে দন্ত্য ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়। যথা : প্রণাম, নির্ণয়, পরিণয় ইত্যাদি।

০৫. প্র, পরা, পূর্ব ও অপর -এই চারটির পরবর্তী অন্য শব্দের দন্ত্য ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়। যথা : প্রহ্ণে, পরাহ্ণ, পূর্বাহ্ণ, অপরাহ্ণ ইত্যাদি।

০৬. পর, উত্তর, চান্দ্র, নার, রাম শব্দের পর আয়ন শব্দের দন্ত্য ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়। যথা : পরায়ণ, উত্তরায়ণ, চন্দ্রায়ণ, নারায়ণ, রামায়ণ ইত্যাদি।

০৭. ‘অগ্র’ শব্দের পরবর্তী ‘নী’ ও ‘হায়ন’ শব্দের দন্ত্য ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়। যথা : অগ্রণী, অগ্রহায়ণ ইত্যাদি।

০৮. কতকগুলো শব্দে স্বভাবতই মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়। যথা : চাণক্য, নিক্কণ, কোণ, গণ, কথা, বাণী, বাণিজ্য, শাণিত, ফণী, লাবণ্য, চিক্কণ, লবণ, পিণাক, পণ, মাণিক্য, কফেণি, কল্যাণ, আপণ, ঘুণ, বণিক, বিপণী, মৃৎকুণ, নিপুণ, কঙ্কণ, ভণিতা, বাণ, কণিকা, উৎকুণ, গণিকা, শোণিত, পণ্য।

আরও কিছু প্রমীত বাংলা বানানের নিয়ম :

০১. রেফের পর কোথাও ব্যঞ্জন বর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমন : কর্ম, কার্য, শর্ত, সূর্য, বার্ধক্য, মূর্ছা, আচার্য, অপরিহার্য, কার্তিক, চর্বি।

০২. হস্ চিহ্ন ও ঊর্ধ্ব কমা যথাসম্ভব বর্জন করা হবে। যেমন : করব, চট, দুজন, ও¯Íাদ, গরমিল, পকেট, করলেন, করিস, মচমচ।

কিন্তু ভুল উচ্চারণের সম্ভাবনা থাকলে সে সব শব্দে হস্ চিহ্ন দেওয়া যেতে পারে। যেমন : আল্লাহ্, বাদশাহ্।

০৩. বিশেষণবাচক ‘আলি’- প্রত্যয়যুক্ত শব্দে ই-কার হবে। যেমন : সোনালি, রূপালি, বর্ণালি।

০৪. পদাশ্রিত নির্দেশক ‘টি’- তে ই-কার হবে। যেমন : লোকটি।

০৫. অর্থভেদ বোঝাবার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী হ্রস্ব ও দীর্ঘ স্বর ব্যবহার করা হবে। যেমন : কি (অব্যয়), কী (সর্বনাম), তৈরি (ক্রিয়া), তৈরী (বিশেষণ), নিচু (নিম্ন অর্থে), নীচু (হীন অর্থে), কুল (বংশ অর্থে), কূল (তীর অর্থে)।

০৬. পদান্তে বিসর্গ থাকবে না। যেমন : ক্রমশ, প্রধানত, মূলত।

০৭. ক্রিয়া পদের বানানে পদান্তে ও-কার আবশ্যক নয়। যেমন : করব, হল ইত্যাদি। এত, মত, কোন প্রভৃতি শব্দে ও-কার আবশ্যক নয়। তবে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞায় ও-কার রাখা যাবে। যেমন : করো, কোরো, বলো, বোলো।

০৮. ব্যঞ্জনবর্ণে উ-কার ( ু ), ঊ-কার ( ূ ) ও ঋ-কারের একাধিক রূপ পরিহার করে এই কারগুলি বর্ণের নিচে যুক্ত করা হবে। যেমন : শুভ, রূপ, হৃদয়।

০৯. যুক্তব্যঞ্জন স্বচ্ছ করার জন্য প্রথম বর্ণের রূপ ক্ষুদ্রাকারে এবং দ্বিতীয় বর্ণের রূপ পূর্ণরূপে লিখতে হবে। যেমন : অঙ্ক, সঙ্গে, স্পষ্ট।

১০. সমাসবদ্ধ পদ এক সঙ্গে লিখতে হবে। যেমন : জটিলতামূলক, বিজ্ঞানসম্মত, সংবাদপত্র। অর্থগতভাবে একক হলেও তা একসঙ্গে লেখা হবে। যেমন : ষোলকলা। প্রয়োজনবোধে শব্দের মাঝখানে হাইফেন দেয়া যেতে পারে। যেমন : জীবন-প্রদীপ, লজ্জা-শরম, সংগত-পাঠ-নির্ধারণ।

১১. বিশেষণবাচক পদ (গুণ, সংখ্যা বা দূরত্ব ইত্যাদি বাচক) হলে সেটি আলাদা বসবে। যেমন : এক জন, কত দূর, সুন্দর ছেলে।

১২. নঞর্থক শব্দ পৃথকভাবে বসবে। যেমন : ভয়ে নয়, হয় না, আসে নি, হাতে নেই।

১৩. হযরত মুহাম্মদ-এর নামের সঙ্গে প্রথম বন্ধনীর মধ্যে (স.), অন্য নবী ও রসূলের নামের পরে বন্ধনীর মধ্যে (আ.), সাহাবীদের নামের পরে (রা.) এবং বিশিষ্ট মুসলিম ধার্মিক ব্যক্তির নামের পরে (র.) লিখতে হবে।

সচরাচর ব্যবহৃত কিছু শব্দ/বাক্যের ঠিক প্রয়োগ :

০১. ইংরেজির মতো বাংলাতেও একবিন্দু (.) কে সংক্ষেপনের চিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেমন : গ. অ = এম.এ, ই. অ = বি.এ। অথচ, আমরা মোহাম্মদ/মুহাম্মদ/ ডাক্তার/ডক্টর প্রভৃতি শব্দের সংক্ষেপনের সময় মোঃ/মুঃ/ডাঃ/ডঃ প্রভৃতি লিখে থাকি। আসলে বিসর্গ (ঃ) একটি বর্ণ সংক্ষেপ চিহ্ন নয়। তাই বিসর্গ ব্যবহার করা ভুল। বিসর্গ ব্যবহার করলে এগুলোর উচ্চারণ হয়- মোহ্/মুহ্/ডাহ্/ডহ্। সুতরাং বিসর্গ পরিহার করে লেখা উচিত মো./ মু./ ডা./ ড. প্রভৃতিরূপে।

০২. টা, টি, খানা, খানি, গুলি, গুলো, রা, এরা, গণ, বৃন্দ, সমূহ- প্রভৃতি শব্দগুলো কোনো বচনের পরে আমরা অনেক সময় আলাদা করে লিখে থাকি। অর্থাৎ বইগুলি, গ্রন্থসমূহ প্রভৃতিরূপে। প্রকৃতপক্ষে এগুলো সবই জোড়া লাগবে। তাই লিখতে হবে- বইগুলি, গ্রন্থসমূহ, ছেলেরা, শিক্ষকগণ, অতিথিবৃন্দ প্রভৃতি।

০৩. ‘আগামী’ ও ‘গত’ শব্দের পরের শব্দ সব সময় পৃথক সবসে। যেমন : আগামী কাল, আগামী দিন, গত কাল, গত বছর প্রভৃতি।

০৪. ‘বিশেষ’ শব্দে যদি প্রকার বা ভেদ বুঝায়, তা হলে পূর্ববর্তী শব্দের সাথে জোড়া লাগবে। যেমন : অবস্থাবিশেষ, পুষ্পবিশেষ, গ্রন্থবিশেষ প্রভৃতি ।

০৫. ‘ব্যাপী’ শব্দটি বিশেষণ হলেও সমাসবদ্ধ শব্দ হিসেবেই এর ব্যবহার। আর সমাসবদ্ধ পদ হলেই একপদ হবে। যেমন : জীবনব্যাপী, শতাব্দব্যাপী।

০৬. ‘ভাবে’ শব্দটি পূর্ববর্তী শব্দের সাথে জোড়া লাগবে। যেমন : ভালোভাবে, অদৃশ্যভাবে, ঘনিষ্টভাবে প্রভৃতি।

০৭. ‘মতো’ শব্দ দ্বারা যদি অনুযায়ী/অনুসারে বুঝায়, তবে পূর্ববর্তী শব্দের সাথেদ জোড়া লাগবে। যেমন : ইচ্চেমতো, কথামতো প্রভৃতি।

০৮. ‘মহা’ শব্দ দ্বারা যদি অত্যধিক/প্রচণ্ড বুঝায়, তবে পূর্ববর্তী শব্দের সাথে জোড়া লাগবে। যেমন : ইচ্ছেমতো, কথামতো প্রভৃতি।

০৯. ‘সব’ এবং ‘সারা’ উভয়ই সমগ্র/সম¯Í/সর্বত্র ইত্যাদি অর্থ প্রকাশ করে। দুই শব্দই সাধারণত পৃথক বসে। যেমন : সব অশান্তি, সব ঘটনা, সব লোক, সারা অঙ্গ, সারা দিন। ব্যতিক্রম : সবশেষে, সবকিছু, সারাক্ষণ প্রভৃতি।

১০. ‘সহসা’ শব্দের অর্থ- হঠাৎ, অকস্মাৎ, অতর্কিতভাবে। ইদানিং এই শব্দটি শীঘ্র তাড়াতাড়ি, সত্বর ইত্যাদি অর্থে ব্যবহার করা ভুল।

১১.‘মাত্র’ শব্দের অর্থ প্রত্যেক/শুধু/পর্যন্ত/তখনই প্রভৃতি বোঝালে, এর পূর্ববর্তী শব্দের সঙ্গে জোড়া লাগবে। যেমন : আসামাত্র, এইমাত্র, একমাত্রা, একটিমাত্র, কিছুমাত্র, বলামাত্র প্রভৃতি। ব্যতিক্রম : দশ টাকা মাত্র, একটা কলম মাত্র প্রভৃতি।

১২. ‘সমেত’/‘সহ’ পূর্ববর্তী শব্দের সঙ্গে একত্রে বসবে। যেমন : পরিবার সমেত, দলবলসমেত, খাজনাসহ প্রভৃতি।

১৩. ‘প্রতি’ শব্দ দ্বারা যদি ব্যপ্তি বোঝায়, তবে এর পূর্ববর্তী বা পরবর্তী শব্দ পৃথক বসবে না। যেমন : প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত, প্রতিবছর, প্রতিমুহূর্ত, ছাত্রপ্রতি, জনপ্রতি ইত্যাদি। ব্যতিক্রম : আমাদের প্রতি, জনতার প্রতি প্রভৃতি।

১৪.‘পর’ শব্দ দ্বারা যদি পরের/পরবর্তী/অন্য/ভিন্ন প্রভৃতি অর্থ প্রকাশ করে, তবে পরবর্তী শব্দটির সঙ্গে জোড়া লাগবে। যেমন : পরকাল, পরদিন, পরনারী, পরজীবী, পরদেশ প্রভৃতি।

১৫. ‘নানা’/‘নানান’ শব্দ পরবর্তী শব্দ থেকে প্রথক বসবে। যেমন : নানা অসুবিধা, নানা ঝামেলা, নানান পথ প্রভৃতি।

১৬. ‘কাল’ ও ‘ক্ষণ’ শব্দের পূর্ববর্তী বিশেষণ আলাদা না সবে একসঙ্গে বসবে। যেমন : একাল, এতকাল, বহুকাল, কতকাল, কতক্ষণ, বহুক্ষণ ইত্যাদি।

১৭. ‘অত্র’ শব্দের অর্থ এখানে। ‘যত্র’ মানে যেখানে এবং ‘তত্র’ মানে সেখানে। তাই ‘অত্র’ বললে কখনো ‘এই’ বুঝায় না। অথচ অফিস আদালতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখালেখির ক্ষেত্রে এই অফিস/ এই বিদ্যালয় অর্থে অত্র অফিস/ অত্র বিদ্যালয় লেখা হয়ে থাকে, যা ভুল।

১৮. ফল, পরিণাম অর্থে ‘ফলশ্র“তি’ শব্দের ব্যাপক প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়। ফলশ্র“তি শব্দের অর্থ- পূণ্যকর্ম করলে তার যে ফল হয়, তা শ্রবণ বা তার বিবরণ। বোঝাই যাচ্ছে, এখানে শ্র“তি’র সঙ্গে পূণ্যকর্মের সম্পর্ক জড়িয়ে আছে। তাই ফল, ফলাফল, পরিণতি, পরিণাম এসব শব্দ বোঝাতে ফলশ্র“তি লিখলে ভুল হবে।

১৯. ‘কাল’ শব্দের বিশেষণ অর্থ ‘কালীন’। এর অর্থ- সময়ে। যেমন : মৃত্যুকালীন প্রার্থনা, যুদ্ধকালীন দূর্ভিক্ষ। তাই চালাকালীন শব্দের অর্থ চলার সময়ে, চালু থাকাকালে। ফলে, ‘চলাকালীন সময়ে’ মানে দাঁড়াবে চলার সময়ে সময়ে। তাই ‘চলাকালীন’ এর পরে সময়ে লেখা বাহুল্য ও অর্থহীন।

২০. ‘উদ্দেশ্য’ শব্দ দ্বারা হদিস, লক্ষ্য, খোঁজ বুঝায়। আর ‘উদ্দেশ্য’ শব্দ দ্বারা অভিপ্রায় বা মতলব, তাৎপর্য, প্রয়োজন প্রভৃতি বুঝায়। যেমন :

কার উদ্দেশ্যে একথা বলা হল কেউ বুঝতে পারল না।

লোকটা উদ্দেশ্য ছাড়া কোনো কাজ করে না।

২১. লক্ষ হলো ১০০ হাজার। আল লক্ষ্য অর্থ উদ্দেশ্য বা দেখা। তবে লক্ষ্য বানানোর সাথে যদি ‘ই’ যোগ হয়, তখন (্য) য-ফলা উঠে গিয়ে ‘লক্ষই’ হয়। যেমন : আমার পাঁচ লক্ষ টাকা দরকার।

আমাদের লক্ষ্য উন্নতি করা।

নিজের শরীরের দিকে সে লক্ষই করে না।

২২. ‘বোধ হয়’ শব্দের অর্থ মনে হয় এবং ‘বোধহয়’ অর্থ সম্ভবত। যেমন :

আমার বোধ হয় সে পৌঁছে গেছে।

সে বোধহয় আজ অফিসে যাচ্ছে না।

২৩. ‘ভারি’ অর্থ- অত্যন্ত, অধ্যধিক, দারুণ এবং ‘ভারী’ অর্থ গুরুভার, ওজনদার, দায়িত্বপূর্ণ। যেমন :

লোকটা ভারি বজ্জাত।

আমি ভারী কাজ করতে পারবো না।

২৪. ‘এমনই’ শব্দের অর্থ এই, এই পরিমাণ, এই রকম প্রভৃতি আর ‘এমনি’ শব্দের অর্থ অকারণে। যেমন :

লোকটা এমনই পাষণ্ড যে নিত্য বৌ পেটায়।

পরীক্ষায় পাস কি এমনি হয়, কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।

২৫. ‘এক রকম’ শব্দের অর্থ সমধর্মা/এক ধরণের/প্রায় আর একরকম অর্থ কোনোভাবে। যেমন :

যা কিছু কিনবে সব এক রকমের কিনো।

দিন আমার একরকম কেটে যাচ্ছে।

২৬.‘তার পর’ শব্দের অর্থ কিচু ঘটাবার পর। আর ‘তারপর’ অর্থ কোনো কিছুর অব্যবহিত পরে। যেমন :

তিনি সেই যে লিখতে শুরু করলেন, তার পর থেকে নিরলস লিখেই চলেছেন।

আগে পড়াশুনা করবে তারপর বাইরে যাবে।

২৭. ‘নয় তো’ এবং ‘নয়তো’ শব্দের অর্থের পার্থক্য রয়েছে। ‘নয় তো’ মানে ‘নয়’, আর ‘নয়তো’ অর্থ বিকল্প পথ। অনুরূপ ‘হয় তো’ হচ্ছে হ্যাঁ-সূচক। আর ‘হয়তো’ হচ্ছে সম্ভাব্যতা, অনিশ্চয়তা। যেমন :

খাঁটি মুক্তো নয় তো, নকল মুক্তো।

তোমার মন গেলে তুমি যেও, নয়তো যেও না।

২৮. ‘না হলে’ শব্দটি নঞর্থক। কিন্তু ‘না হলে’ শব্দের অর্থ অথবা, নইলে, অন্যথায় প্রভৃতি। যেমন :

তার সঙ্গে দেখা না হলে এখনই ফিরে আসব।

নাচ নাহলে গান গাও।

২৯. ‘কেন না’ শব্দের অর্থ কেন নিষেধ করা হলো, আর ‘কেননা’ শব্দের অর্থ যেহেতু বা কারণ। যেমন :

তুমি কেন না বললে।

আমার যাবার কথা ছিল কেননা আমি একবারও যাই নি।

আলাউল হোসেন

বি.এ (অনার্স) এম. এ (বাংলা)

প্রধান শিক্ষক,

স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল

কাশিনাথপুর, পাবনা-৬৬৮২

E-mail: alaul_skylark@yahoo.com

Tel phone: 0733254145

Cell phone: 01915-656996, 01198167146.

Visitors to this page

আমাদের অন্য ওয়েব সাইট :

ABOUT US

SALAHUDDIN AHMED

M.A

CHAIRMAN

Skylark International School Kashinathpur, Pabna—6682 Tel. Phone : 07332-54145 Cell Phone : 01915-462606 E-mail : salahuddin_skylark@yahoo.com

WORK EXPERIENCE:

1. I woked as a staff reporter in the daily Pabnar Alo

2. I also worked as a news editor in the weekly Jonotar Joti

HOBBIES:

Listening music, traveling ........................................................

MD. ALAUL HOSSAIN

B.A(Hons.), M.A

Head Teacher

Skylark International School

Kashinathpur, Pabna—6682

Tel. Phone : 07332-54145 Cell Phone : 01915-656996 E-mail : alaul_skylark @yahoo.com alaulskylark@gmail.com

WORK EXPERIENCE:

1. I woked as a staff reporter in the daily Ichhamoti from January, 2000 upto December, 2004.

2. I woked as a staff reporter in the monthly Sargam(about music) from January, 2001 upto Nobember, 2007.

3. I also worked as a news editor in the weekly Jonotar Joti from January, 2005 upto December, 2008.

4. I had been teaching as an assistant teacher in Al-hera Academy (School & College) from 5 January, 2006 upto 05 October, 2006.

5. I had been teaching as an assistant teacher in National School & College, Dhaka from Nobember, 2006 upto June 2007.

6. I had been also teaching as an assistant teacher in Kashinathpur Abdul Latif High School, Pabna from July, 2007 upto January 2008.

CO-CURRICULUM ACTIVITIES:

I obtained some rewards for the following activities on the occation of National educational week which was held in Santhia upozila & Pabna district.

1. Reciting Poem;

2. Excellent hand writing.

HOBBIES:

Listening music, reciting poem, traveling..

¯‹vBjvK© msMxZ

স্কাইলার্ক সংগীত

কথা সুর: আলাউদ্দিন আলো

সংগীত শিক্ষক,স্কাইলার্ক

স্কুল

আমাদের স্বপ্ন বিশ্ব জয়ের

এই দেশ আমাদের চেতনা

মেধা আর মননের উকর্ষ

স্কাইলার্ক আমাদের প্রেরণা \

কুড়ি থেকে ফুল করে ফুলের সৌরভ ছড়াতে

আমাদের চেষ্টা আমাদের নিষ্ঠা

হার মানবো না কোনো বাধাতে

প্রতিজ্ঞা আমাদের হবেই সফল

সময়ের সাথে করি সাধনা \

ঘৃণা করি ধ্বংসের ভালোবাসি যা কিছু সুন্দর

শিক্ষা-খেলাধুলা, সুমধুর সংগীত

অন্যায় প্রতিবাদে হাতিয়ার

সুন্দর পৃথিবী চাই আমরা

শান্তি আমাদের কামনা \

Lyric , Tune AND Vocal:

ALAUDDIN ALO.

Tabla:

GAUTOM DAS.

Skylark Theme Song...

Labels

PLEASE CLICK HERE

Go For Details